গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দুই সাংবাদিক সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করে পৌর এলাকার শিল্পপাড়া বর্ধনকুঠি মহল্লার নুরন নবী প্রধানের ছেলে তায়ারাত তানভীর প্রধান। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তার পিতার রাজনৈতিক ভিন্ন মতের জন্য তাকে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের সামনের রাস্তায় মারধরের ঘটনায় তিনি এই মামলা দায়ের করেছে বলে উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, মামলার বাদী তায়ারাত তানভীর প্রধানের পিতা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরন নবী প্রধান ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পার্বতীপুর চামরগাছা সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান মিজা মো. শওকত জামান প্রধান প্রতিবেশী। নুরন নবী ও শওকত জামান একে অপরের রাজনৈতিক গুরু শিষ্য এবং ব্যবসায়িক অংশীদার। সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শওকত জামান প্রধান গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সরকারি কর্মচারী হিসেবে প্রেস ক্লাবের দায়িত্ব গ্রহণ করায় স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল গোবিখবর এর সম্পাদক প্রকাশক রায়হান মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ওরফে সুমন জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের জনপ্রশাসন শাখা থেকে তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। শওকত জামানের ক্লাবের দায়িত্ব গ্রহন নিয়ে সাংবাদিক রায়হান মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল সুমন ও বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক আলো প্রতিদিন পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি রায়হান ফরহাদ লিখন গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতে অন্য (বিজ্ঞাপনী) অভিযোগ দাখিল করে। যার নং ২৯৮/২৪ অন্য (বিজ্ঞাপনী)।
মামলার বাদীর পিতা নুরন নবী প্রধান সাংবাদিক দুজন কে শওকত জামানের বিপক্ষে দায়েরকৃত অভিযোগ গুলো তুলতে চাপ দেয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। সম্প্রতি পৌর শহরের কলেজ রোডের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তিনি দুই সাংবাদিক কে ডেকে এই হুমকি প্রদান করে। সাংবাদিক সুমন ও লিখন অভিযোগ তুলতে অস্বীকার করলে তিনি তার ছেলে কে দিয়ে ২০১৪ সালের ঘটনা দেখিয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম দুই সাংবাদিক সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ঘটনায় মামলা নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।