ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রায় বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ গাইবান্ধার বাস যাত্রীদের

রানা পাপুল :
৮৭ হাজার ৯০০ সদস্যের বাসেস অব গাইবান্ধা (Busses Of Gaibandha) ফেসবুক গ্রুপের ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রায় বাসের টিকিটে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীদের। টিকিটের দাম বেশি নেওয়ায় আরও বেশ কয়েকজন গ্রæপটিতে পোষ্ট করেছেন। সেসব পোষ্টে অন্যান্য ভুক্তভোগীরা কার কাছে কতো টাকা নিয়েছে সে বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। লিখেছেন নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ। এসব যাত্রীদের অধিকাংশই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন দূরের রুটের।

এমডি খোকন আহমেদ নামের একজনের পোষ্টে মিতুল আহমেদ লিখেছেন- মহাখালী (ঢাকা) নেয় ৭২০ টাকা কিন্তু সাইনবোর্ড নেয় ১২০০ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি লিখেছেন- ৪০০ টাকা ঘুষ দিয়ে দুটি টিকিট কেটেছি। সৌরভ মন্ডল শুভ লিখেছেন- কাউন্টারে গিয়ে টিকিট পাইনি। সেই টিকিট পরে ১২০০ টাকায় ঠিকই পেয়েছি। ইসমাইল হোসেন মামুন লিখেছেন- টিকিট ১০০০ টাকা নিয়েছে।

সুন্দরগঞ্জের এমডি রুবেল মিয়া নামের একজনের পোষ্টে এমডি জসিম সরকার লিখেছেন- সুন্দরগঞ্জে সব গাড়ি ভাড়া বেশি নিচ্ছে। ঢাকার ভাড়া নিচ্ছে ১২০০। কিছুক্ষণ আগে আমি গিয়ে ভাড়া শুনে টিকিট না কেটে আসছি। একই পোষ্টে আহমেদ বিন ইউসুফ লিখেছেন- কাউকে কোন অভিযোগ দিয়ে লাভ নাই ভাই, ৬০০ টাকার টিকিট নিছে ১২০০ টাকা। এমডি আরিফ মিয়া লিখেছেন- আজকের (শনিবার) ভাড়া চাচ্ছে ১৪০০ টাকা।

ঈদ যাত্রায় দুইটি পরিবহন ৫ দিনে কতো টাকা ভাড়া বেশি নিয়েছে তার একটা হিসেব তুলে ধরেছেন সাবকাত হাসান সিমান্ত নামের একজন। তিনি পোষ্টে উল্লেখ করেছেন- একটা টিকিটে ৫০ টাকা ঈদ বকশিশ। ৪০ টা সিটে ৪০*৫০=২০০০ টাকা প্রতি গাড়ী। অরিন ২৯টা আর আলহামরা ২৫* টা গাড়ী ছাড়ে গাইবান্ধা থেকে। প্রতিদিন অরিন ৫৮ হাজার আর আলহামরা ৫০ হাজার ঈদ বকশিশ আদায় করে। ঈদ যাত্রা ৫ দিনে, ২ লক্ষ ৯০ হাজার অরিন, আর ২ লক্ষ ৫০ হাজার আলহামরা ঈদ বকশিশ নেয়। তাও তাদের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ।।।। এভাবেই কটাক্ষ করেছেন তিনি। এই পোষ্টে শাকিল ইসলাম লিখেছেন- আমার কাছে তো সিট প্রতি ১০০ টাকা বেশি নিয়েছে। তানভীর মেহেদী লিখেছেন- অরিন ৮০০ করে নিয়েছে গতকাল (শুক্রবার)।

আবু সাঈদ নামের একজনের পোষ্টে শাহাদাৎ হোসেন শাহী লিখেছেন- মাওনা রোডে স্বদেশ সেরা। আমি আনসার রোড থাকতে স্বদেশে যাতায়াত করতাম। এই আরকি ঈদে ১২০০ করে টিকিট নেয়। অন্যান্য সময় ৫০০।

টিকিটের বেশি দাম নেওয়ায় অনেকে সেসব পরিবহনকে বয়কটের কথাও লিখেছেন। অনেকে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অনেকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ৩০ দিনের মধ্যে টিকিটসহ অভিযোগ করার কথা বলেছেন। ৯৯৯ কল করার কথাও বলা হয়েছে মন্তব্যের ঘরে।

এমডি সজিব ইসলাম নামের একজন লিখেছেন- দৃষ্টি আকর্ষণ- গাইবান্ধা কি ভোক্তা অধিদপ্তরের লোক আছে? যদি থাকে তাহলে গাইবান্ধা বাসের টিকিট কাউন্টারগুলোতে তদন্ত করেন। পূর্বের টিকিটের মূল্য- ৩০০/-বর্তমান টিকিট মূল্য নাকি- ১০০০/- যাত্রীগণ সবাই সাবধান। গাইবান্ধার ভোক্তা অধিদপ্তররা কি করে?