মো. শাহাদত হোসেন মিশুক, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ তুলিপকে জরিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন গন মাধ্যমে যেসব মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনসহ বিএনপির ভাবমুর্তী ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয় সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোষর তথাকথিত নব্য বিএনপির কতিপয় একটি মহল সম্প্রতি সাঘাটা ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মৃদুল এর উপর হামলার ঘটনায় উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমার নাম জড়ানো হয় এবং উপজেলা মহিলা দলের নেত্রী মৌসুমী আক্তার মিষ্টিকে জড়িয়ে আমার এবং বিএনপির বিরুদ্ধে ভাব মুর্তী ক্ষুন্ন করে অপপ্রচার করা হচ্ছে। অবিলম্বে এসব অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঘুড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক আবু রায়হান পাপুল, বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক, যুব দল নেতা নুরুল হোসেন, আনিছুর রহমান, আতাউর রহমান ও উপজেলা জাসাস আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, গাইবান্ধায় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামুলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১২ টায় জেলা শহরের গানাসাস মার্কেটের ২য় তলায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ও ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভুক্তভোগী আবু হানিফ। তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি। রাজনৈতিক সফলতায় ঈর্ষানিত হয়ে তার প্রতিপক্ষ ফজলুপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহব্বায়ক রফিকুল ইসলাম ও ওই ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক মিজানুর রহমান মিলন তার নাম সহ বিএনপি নেতা আবু সাঈদ, লেবু মিয়া, সোনা মিয়া, সবুজ মিয়া ও আব্দুল হাকিমকে আওয়ামীলীগ ট্যাগ দিয়ে বিষ্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি আরো জানান, মিজানুর রহমানের পিতা ২০১৮ সালে এবং ২০২৩ সালে মিজানুর রহমান মিলন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমার প্রতিদ্বন্দী ছিলেন। তিনি ছাড়া মামলার বাকি ৫ জনের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিহিংসামুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রæত এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ প্রশাসনের নিকট তাদের নিরাপত্তার জোর দাবি জানান।
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
			
 
			 
			 
			