মোস্তফা কামাল সুমন: মানসম্মত শিক্ষাদানের প্রধান অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে শ্রেণি পাঠদানের সময়সূচি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠদানের সময়সূচি পরিবর্তন নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করতে অবশ্যই এই সময়সূচির পরিবর্তন করতে হবে। দীর্ঘকালীন সময় ধরে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু শিক্ষার্থী নয় দুপুর পরবর্তী সময়ে শিক্ষকরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। ফলে মানসম্মত শিখন শেখানো কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এখন সময় এসেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠদানের সময়সূচির পরিবর্তন করার।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু করে বেলা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত (ক্ষেত্র বিশেষে কমবেশি থাকে) শ্রেণি পাঠদানের সময়সূচি নির্ধারিত। এতো দীর্ঘ সময় ধরে পাঠদানের সময় নির্ধারিত থাকায় মানসম্মত শিখন শেখানো কার্যক্রম সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষত্ব দুপুরকালীন সময়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। দুপুর ১টার পরের যেসকল শ্রেণি ক্লাস পরিচালিত হয় সেই সব ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সাথে শিক্ষকবৃন্দও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই ক্লান্তি নিয়ে আনন্দদায়ক শিক্ষাপ্রদান দূরের কথা। শিক্ষকরা মোটামুটি উপযুক্ত ভাবে শ্রেণি পাঠদান করতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। এতে করে শিক্ষার্থী প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দেশের আবহাওয়া ও আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিলে সত্যিকার ভাবেই দুপুর পরবর্তী সময়ে শিক্ষার মত মনোসংযোগের কার্যক্রম পরিচালনা করা দূরূহ। সব ঋতুতেই দুপুরে তাপমাত্রা বেশি থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শ্রেণি পাঠদানের সময়সূচি হওয়া উচিত সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত। কোন ভাবেই দুপুর ১টার পর শ্রেণি পাঠদানের সময়সূচি রাখা উচিত নয়। এখন সময় এসেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণি পাঠদানের সময়সূচি পরিবর্তনের।
মোস্তফা কামাল সুমন, সহকারী শিক্ষক, বিশুবাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা।
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
			
 
			 
			 
			