মোস্তফা কামাল সুমন: মানুষ মানুষের জন্য। মানুষের আপদে বিপদে একে অপরের পাশে দাঁড়াবে এটাই সর্বকালের সার্বজনীন সত্য। কিন্তু যুগের হাওয়ায় এই সত্য থেকে আমরা যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছি। এখন একে অপরের পাশে পাওয়া যেন দুষ্কর হয়ে উঠেছে। সমাজের উচ্চ শ্রেণির মানুষের মাঝে তা আরও বেশি বিরল হয়ে উঠেছে। এখন মানুষ আর সাধারণ মানুষের সাথে প্রাণ খুলে মিশতেও চায় না। কিন্ত সময়ের আবর্তে কিছু মানুষ এখন সার্বজনীন সত্যের পথে চলতে পছন্দ করে। তেমনি একজন মানুষ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের জীবন্ত কিংবন্দন্তী রাজনৈতিক সূর্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তাঁর জীবনে ব্রত যেন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রাণ খুলে মেশা। সাধারণ মানুষ বিহীন জীবন তাঁর কাছে জেলখানার বন্দি দশার মত। এ যেন এক বিরল পাওয়া গোবিন্দগঞ্জ বাসীর জন্য।
সাফল্যের নেশা মারাত্মক নেশা। সৃষ্টার কৃপা ছাড়া এই নেশায় সফল হওয়াও যায় না। সাফল্য বলতে যা যা বুঝায় তার সব কিছুই অর্জিত হয়েছে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের এক জীবনে। তবু তিনি সাধারণ অতি সাধারণ। খেটে খাওয়া মানুষ থেকে সমাজের উচ্চ স্তরের সব শ্রেণি সব পেশার মানুষের একান্ত আপনজন। তাদের আত্মার আত্মীয় ও সুখ দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার মানুষ। এখন তিনি উপজেলার যেকোন জায়গায় প্রাকৃতিক সামাজিক দূর্ঘটনা ঘটলে মুহুর্তে গিয়ে হাজির হন। রাত বিরাত মতাদর্শ শ্রেণিভেদের চিন্তা এক্ষেত্রে তাঁর কাছে অমূলক। নিজের সামর্থ্য নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। অবিরাম তিনি ছুটে চলেন উপজেলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে।
বন্ধুর হাত ক’জন বাড়াতে পারে। ছোট বড় সবার বন্ধু অভিভাবক হওয়া কি সাধ্যের কর্ম। কত মানুষ আছে সমাজে এই অসাধ্য সাধণ করতে পারে? সমাজে খুঁজলে খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু একজন বাঁশিওয়ালা বন্ধু অভিভাবক আছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। তিনি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তিনি সবার বন্ধু অভিভাবক। পিতার সাথে যেমন তাঁর হৃদ্যতা তেমনি পুত্রের সাথেও স্নেহের সখ্যতা। যুগ পরষ্পরায় এই সর্ম্পক স্থাপন করে তা টিকে রেখে চলছেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তাঁর ডাকে যেমন পিতা মুহুর্তে ছুটে আসে তেমনি পুত্রও ছুটে আসে আরও বেশি দ্রুত বেগে। তাকে ঘিরে তৈরি করে আত্মার সর্ম্পকের সেতুবন্ধন। এই বৈশিষ্ট্যের জন্য অনেকেই তাকে প্রচলিত মিথের গোবিন্দগঞ্জের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা বলে সম্মোধণ করেন।
সম্মান দানের মালিক সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ। তিনি যাকে খুশি সম্মান দিয়ে সম্মানিত করেন এবং অভিভাবকত্ব দান করেন। এই অভিভাবকত্বের দায়িত্ব সবাই পালন করতেও পারে না। যারা পারে তাদের সংখ্য খুব কম। কিন্তু গোবিন্দগঞ্জের রাজনৈতিক সূর্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ যুগের পর যুগ ধরে বন্ধুত্বের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছেন। সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ আগামী ৭ জানুয়ারি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের হাতে গোবিন্দগঞ্জের অভিভাবক তুলে দিবেন বলে বিশ্বাস করে গোবিন্দগঞ্জের সর্বস্তরের জনসাধারণ।