নিশ্চয়ই বিবেচনা করবেন, ৭ জানুয়ারি আবুল কালাম আজাদের হোক

মোস্তফা কামাল সুমন: ৭ জানুয়ারি রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আগামীর গোবিন্দগঞ্জ সহ সারাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আগামী ৫ বছর দেশ পরিচালনা করবে। দেশের উন্নতি অবনতি নির্ধারিত হবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। সেই সাথে দেশের একক সংসদীয় আসন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ জনপদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে সেদিন। কেমন ভাগ্য চাই প্রিয় গোবিন্দগঞ্জের? অবশ্যই প্রাণের গোবিন্দগঞ্জ কে সাম্য সমৃদ্ধি সহযোগিতায় প্রাণবন্ত দেখতে চাই!! সমৃদ্ধ উন্নত ক্রমবিকাশমান বিনির্মাণে এগিয়ে যাবে গোবিন্দগঞ্জ এই প্রত্যাশা উপজেলার প্রতিটি জনসাধারণের। এমন একটি জনপদ গড়তে করতে চাই যোগ্য কারিগর। কেবল মাত্র যোগ্য কারিগরই পারে নিপুন হাতে গড়তে। স্নেহ মমতার প্রিয় গোবিন্দগঞ্জ জনপদ গড়ার একজন যোগ্য কারিগর অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।

উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। হঠাৎ কোথাও থেকে উন্নয়ন করা সম্ভব হয় না। দীর্ঘ দিনের প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। একটা প্রক্রিয়ার সাথে অপর প্রক্রিয়া সংযুক্ত। আর সীমিত সামর্থে্যর বিশাল জনসংখ্যার বাংলাদেশে একটি জনপদের জন্য উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিকে হতে হবে দক্ষ, কর্মপটু, উদার, ডায়নামিক এবং প্রচুর তদবিরে ক্ষমতা সম্পন্ন। একটি গুণের ঘাটতি হলে অবশ্যই সেই জনপদ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবে। নির্বাচিত সর্বোচ্চ জনপ্রতিনিধি যদি ইগো ধরে তদবির না করে দিন শেষে ক্ষতির সম্মুখীন হয় সেই জনপদ। পূর্বের অর্জিত অবস্থানের কারণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি প্রয়োজনীয় জায়গার যেখানে সেখানে ফোন না দেয়, যদি তাদের কাছে ধরনা না দেয়, তদবির না করে, যদি আমিত্বের অহংকারে ঘরে বসে থাকে তবে শুধু সেই ব্যক্তিই নয় তাঁর এলাকার লাখ লাখ জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে অনুন্নত জীবন যাপন করতে বাধ্য হবে।

উন্নয়নের জন্য কেন দক্ষ, কর্মপটু, উদার, ডায়নামিক এবং তদবিরে ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তির কেন প্রয়োজন তার একটি উদাহরণ দেই, সরকার সারাদেশে উন্নয়ন করতে কর্মপরিচালনা গ্রহণ করে। দেশের জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা মেটাতে সরকার অঙ্গীকারবন্ধ এবং তাদের প্রধান দায়িত্বও বটে। আয়তন ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে সেই এলাকার সাধারণ উন্নয়ন বরাদ্দ বন্ঠিত হয়। দেশের সব জায়গায় একই ভাবে উন্নয়ন বরাদ্দ বন্ঠিত হয়। যেমন: গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের জনসংখ্যা যদি ৫০ হাজার হয় তাহলে দেখা যাবে, সেখানে ভিজিডি ভিজিএফ দেওয়া হয়েছে পাঁচ হাজার। আবার শিবপুর ইউনিয়নের জনসংখ্যা যদি ২২ হাজার হয় তবে সেখানে দেওয়া হবে ২২ শত জনকে। এটি রুটিন উন্নয়ন। এখানে জনপ্রতিনিধির কোন ভূমিকা থাকে না। এক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকলেও সমস্যা নাই। তবু রুটিন উন্নয়ন সেখানে পৌছে যাবে। এটাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি তাঁর দক্ষতা, কর্মপটুতা, উদারতা, ডায়নামিকতা এবং তদবিরের ক্ষমতায় সেই এলাকার জন্য রুটিন বরাদ্দের বাহিরে যখন কিছু অতিরিক্ত বরাদ্দ আনে সেটাই প্রকৃত উন্নয়ন। আর এই বরাদ্দের জন্য অবশ্যই জনপ্রতিনিধিকে দক্ষ, কর্মপটু, উদার, ডায়নামিক এবং তদবিরের ক্ষমতা সম্পন্ন হতে হয়। তাছাড়া সেই জনপদ পিছিয়ে পড়তে বাধ্য।

অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ একজন দক্ষ, কর্মপটু, উদার, ডায়নামিক এবং তদবিরে ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি বয়সের ভারে নুজ নন। পরিচিত অপরিচিত সকলেই তার তদবিরের ক্ষমতা সর্ম্পকে অবগত। অন্যের প্রয়োজনে যেকোন মুর্হুতে তিনি যেকোন জায়গায় ফোন দিতে সংকোচ বোধ করেন না। যা আগামীর সমৃদ্ধ জনপদ গড়ে তুলতে অনেকটাই সহায়ক। তাই ৭ জানুয়ারি রোববার আপনার মহামূল্যবান রায় অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ কে দিয়ে সাম্য সমৃদ্ধি সহযোগিতার গোবিন্দগঞ্জ জনপদ গড়ুন।